মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
ProdhanKhabor | Popular NewsPaper of Bangladesh
মঙ্গলবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গণতন্ত্র ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ধানের শীষে ভোট দিন: ড. খন্দকার মোশাররফ কুমিল্লা ১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন কাজী ওবায়েদ উল্লাহ ছাত্র শিবিরের নতুন সেক্রেটারি কে এই সিবগাতুল্লাহ জেনে নিন পরিচয় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে এসে বিজিবির বাধায় সরে গেছে বিএসএফ শহীদ ওসমান হাদিকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি হাবিপ্রবি শিক্ষকের একীভূত ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য ২ লাখ টাকা উত্তোলনের সুযোগ থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে যুদ্ধবিরতি শীত কী আরো বাড়বে? | প্রধান খবর দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ বাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দারসহ গ্রেফতার ৭ দাউদকান্দিতে প্রবাসীর সীমান প্রাচীর ভেঙ্গে সম্পত্তি দখলের চেষ্টায় থানায় অভিযোগ কুমিল্লা-১ আসনে এবি পার্টির মনোনীত প্রার্থী সফিউল বাসারের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের রাজনীতি: মাকসুদেল হোসেন খান কুমিল্লা-২ আসনে সুন্নি জোটের মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন মুফতী আব্দুস সালাম বিপ্লবী হাদী হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যুব শক্তির হানিফের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বিএনপি ছাড়া বিকল্প নেই: ড.মারুফ হোসেন দাউদকান্দিতে জামায়াতের বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি ওসমান হাদীকে গুলি করার প্রতিবাদে দাউদকান্দিতে বিক্ষোভ দাউদকান্দিতে কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় জাসাস কুমিল্লা উত্তর জেলার দোয়া মাহফিল মহাকাশ থেকে তোলা ছবিতে জ্বলজ্বল করছে পবিত্র কাবা শরিফ | প্রধান খবর

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের রাজনীতি: মাকসুদেল হোসেন খান

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের রাজনীতি: মাকসুদেল হোসেন খান
"২০২৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ময়দান ও জনগণের কাছে এক অবিস্মরণীয় দিন হয়ে উঠতে যাচ্ছে। এ দিনে দীর্ঘ প্রায় দেড় দশকের নির্বাসিত প্রবাসজীবন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দেশের রাজনীতিতে এক নতুন বাস্তবতার সূচনা করবে। যা কেবল ব্যক্তি বা দলীয় রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দীর্ঘ সংগ্রামের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কিছু কিছু দিন কেবল তারিখ হিসেবে নয়, বরং যুগান্তকারী মোড় পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকে। তেমনি ভাবে এই ২৫ ডিসেম্বর, তারিখটি দেশের মানুষের কাছে স্বরণীয় হয়ে থাকবে, গণমানুষের নন্দিত নেতা তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে।

২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগে তারেক রহমানকে লক্ষ্য করে যে মামলা-প্রক্রিয়া শুরু হয়, তা পরবর্তী সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বহুগুণে বিস্তৃত হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই মামলা-নির্ভর দমননীতি ছিল পরিকল্পিত এবং ধারাবাহিক।

তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে মোট ১৮৪টি মামলা দায়ের করা হয়, যার অধিকাংশই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত হয়েছে দেশি- বিদেশি মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদের আলোচনায়। লক্ষ্য ছিল স্পষ্ট: তাকে নেতৃত্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করা।

কিন্তু ইতিহাসের এক নির্মম পরিহাস হলো, রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার এই প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত উল্টো ফল বয়ে আনে। দীর্ঘ প্রবাসেও তারেক রহমান দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে সক্রিয় রেখেছেন, নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তে দৃঢ় ভূমিকা রেখেছেন এবং মাঠপর্যায়ের রাজনীতির সঙ্গে ধারাবাহিক যোগাযোগ বজায় রেখেছেন।

এতে করে বিএনপির ভেতরে তার নেতৃত্ব প্রশ্নাতীত হয়ে উঠেছে। এই রাজনৈতিক বাস্তবতার পেছনে বেগম খালেদা জিয়ার ঐতিহাসিক ভূমিকা আলাদাভাবে উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র, বহুদলীয় রাজনীতি এবং ভোটাধিকারের প্রশ্নে তিনি যে আপসহীন অবস্থান নিয়েছেন, তা জনগণের স্মৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত। তাঁর কারাবাস, অসুস্থতা এবং রাজনৈতিক নিপীড়নের অভিজ্ঞতা জিয়া পরিবারকে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার প্রতীকে পরিণত করেছে বলেই অভিজ্ঞজনেরা মনে করেন।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, যা ঘোষিত সূচি অনুযায়ী ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এই নির্বাচন রাজনৈতিক বাস্তবতাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। বিএনপি ইতোমধ্যে প্রার্থী বাছাইয়ে যে সাংগঠনিক দৃঢ়তা দেখিয়েছে, তা দলটির নির্বাচনী প্রস্তুতির গভীরতা নির্দেশ করে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৭৩টি আসনে মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় মাঠপর্যায়ের জনপ্রিয়তা, রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা ও সাংগঠনিক দক্ষতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরামর্শ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে। দু' একটি আসনে ব্যক্তিগত অসন্তোষ দেখা গেলেও, সামগ্রিকভাবে নেতাকর্মীরা প্রার্থীদের মেনে নিয়ে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন। যা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের গুণ এবং তারেক রহমানের নিরপেক্ষ, ন্যায়শুদ্ধ ও বিবেক প্রসূত দৃঢ় রাজনৈতিক জ্ঞানের ফসল।

২৫ ডিসেম্বর রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে যে সংবর্ধনা দেয়া হবে, ইতিমধ্যে সংবর্ধনা ঘিরে যে জনআগ্রহ তৈরি হয়েছে, তা নিছক রাজনৈতিক আনুষ্ঠানিকতা নয়। এটি দীর্ঘদিনের ক্ষোভ, প্রত্যাশা এবং গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই সংবর্ধনা হবে নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনগণের নীরব প্রতিবাদের প্রতীকী রূপ। যা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, রাজনৈতিক সহিংসতা এবং বিতর্কিত নির্বাচনের অভিযোগ জনমনে গভীর অনাস্থা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে ভোটাধিকার ক্ষুণ্ন হওয়া এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনের সংস্কৃতি গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক সংকটে ফেলেছে। এই প্রেক্ষাপটে জনগণের একটি বড় অংশ জিয়া পরিবারের নেতৃত্বকে গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের সম্ভাব্য ভরকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করছেন।

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন তাই কেবল অতীতের অধ্যায় সমাপ্তির ঘোষণা নয়; এটি ভবিষ্যতের রাজনৈতিক দিকনির্দেশনার সূচনা। এই প্রত্যাবর্তন যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে এবং রাজনৈতিক সহনশীলতার নতুন সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হয়, তবে ইতিহাসে এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।

শেষ পর্যন্ত প্রশ্ন একটাই, এই প্রত্যাবর্তন কতটা গণতন্ত্রের বাস্তব উত্তরণ ঘটাতে পারে। উত্তর ভবিষ্যৎই দেবে। তবে এটুকু স্পষ্ট, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনিবার্য ও স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে।

রাজনৈতিক অভিজ্ঞ জন মনে করেন এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সুযোগ্য নেতৃত্ব বাছাই এবং তারেক রহমানের যুগোপযোগী, সুচিন্তিত ও গণমুখী নেতৃত্ব গুণ এক বৈপ্লবিক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে যুগের পর যুগ। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারের প্রতি দেশের সাধারণ মানুষের আস্থা বেড়ে যাবে কয়েক 'শ গুণ।

যার ফলশ্রুতিতে জাতীয় নির্বাচনে সাধারণ মানুষের ভোটের বিরাট একটা অংশ বিএনপি প্রার্থীদের পক্ষে পড়বে। এতে স্বভাবিক ভাবেই বিএনপি প্রার্থীদের বিজয় ত্বরান্বিত হবে। সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা, তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে তিনি দেশ থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্যতা, বেকারত্ব, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে চির বিদায় জানাতে অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন।
এই প্রত্যাশা দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও পোষণ করছি।

লেখক: প্রধান সম্পাদক, প্রধান খবর ও নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন এবং কলামিস্ট।
গণতন্ত্র ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ধানের শীষে ভোট দিন: ড. খন্দকার মোশাররফ

গণতন্ত্র ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ধানের শীষে ভোট দিন: ড. খন্দকার মোশাররফ